অফার কম্বো ২০০ গ্রাম মাশরুম পাউডারের
সাথে ২০০ গ্রাম মাশরুম চিকেন স্যুপ একদম ফ্রি!
মাশরুম পাউডার এর উপকারিতা:
- হার্ট ব্লকেজ ভালো করে
মাশরুমে কোলেস্ট্রল ভাঙ্গার উপাদান লোভাস্টটিন ,এন্টাডেনিন, ইরিটাডেনিন, কিটিন ,ও নয়াসিন বিদ্যমান থাকায় শরীরে চর্বি জমতে পারে না ফলে ধীরে ধীরে হার্ট ব্লকেজ ভালো হয়
🍄 মাশরুমে থাকা কোলেস্টেরল ভাঙার উপাদানসমূহ ও তাদের কাজের বিস্তারিত তালিকা
উপাদান (Compound) উৎস (মাশরুম প্রজাতি) শরীরে কাজের ধরণ
১. বেটা-গ্লুকান (Beta-glucan) অয়েস্টার, শিটাকে, মাইটেকি দ্রবণীয় ফাইবার যা অন্ত্রে কোলেস্টেরলের শোষণ কমায়; রক্তে LDL কমায়
২. লোভাস্ট্যাটিন (Lovastatin) অয়েস্টার, রেইশি লিভারে কোলেস্টেরল তৈরির এনজাইম (HMG-CoA reductase) বন্ধ করে; প্রাকৃতিক স্ট্যাটিন
৩. এন্টাডেনিন (Eritadenine) শিটাকে (Shiitake) ফসফোলিপিড বিপাক পরিবর্তন করে ট্রাইগ্লিসারাইড ও LDL কমায়
৪. ফাইটোস্টেরলস (Phytosterols) বিভিন্ন প্রজাতি অন্ত্রে কোলেস্টেরলের শোষণ প্রতিরোধ করে
৫. নয়াসিন (Niacin / Vitamin B3) প্রায় সব মাশরুমে HDL বাড়ায়, LDL ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়
৬. চিটিন (Chitin) সব মাশরুমের কোষ প্রাচীর অজীর্ণ ফাইবার—চর্বি ও কোলেস্টেরল বাঁধাই করে শরীর থেকে বের করে
৭. চিটোসান (Chitosan) চিটিন থেকে প্রক্রিয়াজাত অন্ত্রে চর্বি শোষণ বন্ধ করে ও ওজন কমায়, ফলে কোলেস্টেরলও কমে
৮. এরগোস্টেরল (Ergosterol) অয়েস্টার, রেইশি শরীরে ভিটামিন D2-এ রূপান্তরিত হয়, কোলেস্টেরল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে
৯. অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস (Phenolics, Flavonoids) সব প্রজাতি কোলেস্টেরল অক্সিডেশন রোধ করে, যা ব্লকেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে
১০. পটাশিয়াম (Potassium) বেশিরভাগ মাশরুমে উচ্চ রক্তচাপ কমায়, যা হৃদরোগ ও কোলেস্টেরল রিলেটেড ঝুঁকি হ্রাস করে
১১. পলিস্যাকারাইডস (Polysaccharides) রেইশি, কর্ডিসেপস ইমিউন ও লিভার ফাংশন উন্নত করে, ফলে ফ্যাট মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ হয়
১২. সেলেনিয়াম (Selenium) অয়েস্টার, বাটন মাশরুম কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
মাশরুমে সরকারা ও ফ্যাট কম থাকায় আঁশ বেশি থাকায় এটা ডায়াবেটিস রুগীর জন্য খুবই উপকারী । এছাড়া মাশরুমে বিদ্যমান আনজাইম ও প্রাকৃতিক ইনসুলিন থাকায় দেহের অতিরিক্ত চিনি ভেঙ্গে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে ।
- গর্ভবতী মা ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ করে
মাশরুমে আমিষ শর্করা চর্বি ভিটামিন ও মিনারেলের এমন সমন্বয় আছে যা শরীরের ইমিউন system কে উন্নত করে এবং ভিটামিন সি এর প্রাচুর্য থাকাই গর্ভবতী মা ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ করে ।
- দাঁত ও হাড় মজবুত করে
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ফসফরাস ও ভিটামিন ডি আছে শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনে এই উপাদান গুলি অত্যন্ত কার্যকারী ।
- ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করে
মাশরুমে বেটা ডি ,ল্যামপট্রোল, টারপিনয়েড, ও বেনজো পাইরিন বিদ্যমান থাকায় ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করে ।
- এইডস প্রতিরোধ করে
মাশরুমে ট্রাইটারপিন থাকাতে বর্তমান এটি বিশ্বে এইডস প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ।
- আমাশা নিরাময় করে
মাশরুমে ইলুডিন এম ও এস থাকায় আমাশা রোগীর জন্য অত্যন্ত উপকারী ।
- হাইপারটেনশন কমায়
মাশরুমে স্ফিংগলিপিড এবং ভিটামিন ১২ বেশি থাকায় স্নায়ুতন্ত্র ও স্পাইনাল কার্ড সুস্থ রাখে তাই মাশরুম খেলে হাইপারটেনশন দূর হয় এবং মেরুদণ্ড দৃঢ় থাকে ।
- কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে
মাশরুমে নিউক্লিক এসিড ও এন্টি অ্যালার্জেন থাকাই এবং সোডিয়াম এর পরিমাণ কম থাকায় কিডনি রোগ ও এলার্জি রোগ প্রতিরোধ করে ।
- চুল পড়া ও পাকা প্রতিরোধ করে
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে সালফার সরবরাহকারী অ্যামাইনো এসিড থাকায় এটা নিয়মিত খেলে চুল পড়া ও পাকা প্রতিরোধ করে ।
- দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে
মাশরুমের খনিজ লবণ চোখের দৃষ্টিশক্তি রক্ষার জন্য সামাদৃত ।
- হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিস প্রতিরোধ করে
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণ ফলিক এসিড লৌহ এবং লিংকজাই- ৮ নামক অ্যামাইনো এসিড থাকায় হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিস প্রতিরোধ করে ।
- অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা ভালো করে
শরীরে এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে নিয়মিত মাশরুম খেলে তা থেকে রেহাই পাওয়া যায় ।
- চর্মরোগ প্রতিরোধ করে
নানা ধরনের চর্মরোগ নিরাময়ে মাশরুম বিশেষভাবে উপকারী মাশরুমের নির্যাস থেকে খুশকি প্রতিরোধী ঔষধ তৈরি করা হয় ।
- যৌন সমস্যা দূর করে
নিয়মিত মাশরুম খেলে যৌন সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়।
মাশরুমের পুষ্টিগুণ:
- প্রোটিন ২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম ।
- ভিটামিন ৫৭ থেকে ৬০ গ্রাম ।
- মিনারেল ৫ থেকে ৬ গ্রাম ।
- শর্করা ও উপকারী চর্বি ৪ থেকে ৬ গ্রাম ।
- আঁশ ১০-২৮ % এই পরিমাণটি অন্য খাবারের তুলনায় অনেক বেশি ।
তাছাড়া মাশরুম মানবদেহের কোষের প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি সরবরাহ করে
- মাশরুম পাউডার খাওয়ার নিয়ম
- এক গ্লাস দুধের সাথে এক থেকে দুই চামচ মাশরুম পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন ।
- এক কাপ চা বা কফির সাথে চামচ পরিমাণ মাশরুম পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন
- এক গ্লাস যেকোনো জুসের সাথে এক থেকে দুই চামচ মাশরুম পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন ।
- তাছাড়া আমরা প্রতিদিন যেসব সবজি রান্না করি সেটার সাথে মিশিয়ে মসলার মত ব্যবহার করেও খেতে পারেন ।
- তবে সকালে ও রাতে খালি পেটে এক গ্লাস পানির সাথে এক থেকে দুই চামচ মাশরুম পাউডার মিশিয়ে খেলে সবথেকে ভালো উপকার পাওয়া যায় ।
Reviews
There are no reviews yet.